ভাইরাল জ্বর থেকে সুস্থ হতে করণীয়
আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় বয়স্ক ও শিশুরা শ্বাসের সমস্যাতেও ভুগছেন। তাই এই মৌসুমে সুস্থ থাকতে হলে সতর্ক থাকাই শ্রেয়। ভাইরাল জ্বরে পড়লে গলা ব্যথা, কাশি, সর্দি এবং শরীরে ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। যদি জ্বর বা অন্যান্য উপসর্গগুলো গুরুতর হয়, তবে অপেক্ষা না করে অবিলম্বে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত, তবে হালকা জ্বরের চিকিৎসা বাড়িতে করা যেতে পারে।

আয়ুর্বেদ চিকিৎসকরা বলেন, ভাইরাল জ্বর থেকে সুস্থ হতে আপনার চাই স্বাস্থ্যকর ডায়েট, বিশ্রাম এবং প্রচুর পরিমাণে তরল। আপনার চারপাশে পাওয়া কিছু সবুজ পাতা রয়েছে যা জ্বরের উপসর্গ কমাতে সাহায্য করে। দেখে নিন সেগুলো কী কী।
ধনিয়া পাতা: ধনিয়াপাতা এবং বীজে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট পাওয়া যায়, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে কাজ করে। ধনে পাতায় রয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক যৌগ, যা ভাইরাল সংক্রমণ উপশম করতে সাহায্য করে। জ্বর ও এর উপসর্গ কমাতে আধ লিটার পানিতে ধনিয়া পাতা দিন এবং এই পানি দিনে কয়েকবার পান করুন। যাতে তাৎক্ষণিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
তুলসি পাতা: তুলসি পাতা হচ্ছে ইউজেনল, সিট্রোনেলল এবং লিনালুলের মতো তেলের ভাণ্ডার। এটি প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। তুলসি পাতায় অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা ভাইরাল জ্বর উপশম করতে ভালো কাজ করে। জ্বর, মাথাব্যথা, সর্দি, কাশি, ফ্লু থেকে মুক্তি পেতে তুলসির জল পান করুন। এছাড়া তুলসি চা তৈরি করতে পারেন।
সজনে পাতা: সজনে পাতায় ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এই পাতা ভাইরাল জ্বর সারাতে সাহায্য করে। এছাড়াও গবেষণায় এটাও প্রমাণিত হয়েছে যে সজনে গাছের বাকল জ্বর কমাতে সাহায্য করে। এই পাতা শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে।
অ্যরিগেনো পাতা: অ্যরিগেনো পুদিনা পরিবারের ভেষজ, এটিও ঔষধি গুণের জন্য পরিচিত। কারভাক্রোল নামক উপাদান রয়েছে পাতার মধ্যে। এই ভেষজ অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্য পূরণ করে। জলে অ্যরিগেনো পাতার সঙ্গে হলুদের গুঁড়ো দিয়ে ফুটিয়ে নিন। দিনে দুইবার পান করলে জ্বর কমে যাবে।
অড়হর পাতা: অড়হর পাতাও ভাইরাল সংক্রমণের চিকিত্সার জন্য ঐতিহ্যগত ওষুধে প্রাচীন কাল থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। সাফিসিনোলাইড যৌগের উপস্থিতির কারণে এটির অ্যান্টিভাইরাল প্রভাব রয়েছে। এই পাতা সিদ্ধ করে এর ক্বাথ পান করলে জ্বরের লক্ষণ কমে যায়।